ফারুক আহমদ, কক্সবাজার :: জনবল সংকট ও প্রশিক্ষক এর অভাবে কক্সবাজার যুব ভবনে ৩ টি প্রশিক্ষণ কোর্স ৫ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। ট্রেড কোর্স গুলো হচ্ছে সেলাই বা দর্জি, মৎস্য চাষ ও ফ্রিল্যান্সিং বা আউট সোর্সিং। এতে করে শত শত বেকার যুবক যুবতী প্রশিক্ষণের অভাবে দক্ষতা অর্জনের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
কক্সবাজার যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ফাতেমা বেগম বলেন, দীর্ঘ বছর ধরে পর্যাপ্ত বা সরকারি মজুরি কৃত প্রশিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। জনবলের অভাবে ৫ বছর ধরে একাধিক ট্রেড কোর্স বন্ধ রয়েছে ।
উপ-পরিচালক আরো জানান, ইলেকট্রনিক্স প্রশিক্ষক ২ জনের মধ্যে ১ জন, এয়ারকন্ডিশনে ২ জনের মধ্যে ১ জন প্রশিক্ষক থাকলেও একাধিক ট্রেড কোর্সে প্রশিক্ষক নেই। শুধু তাই নই অফিস সহায়ক, অফিস সহকারি ৪ জনের মাত্র ১ জন আছে। ডাটা এন্ট্রি অপারেটর নেই এবং সহকারি পরিচালক ২ জনের মধ্যে ১ জন আছে। ডেপুটি কো-অর্ডিনেটর পদটি দীর্ঘদিন ধরে শুন্য। জনবল সংকটের কারণে যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি অচল হয়ে পড়েছে।
কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের লিংক রোড নামক স্থানে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের অধীনে পরিচালিত যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি গড়ে উঠেছে। “দক্ষতা বাড়াতে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর আসুন, যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে কর্মসংস্থানের সুযোগ নিন” এ স্লোগানকে সামনে রেখে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের যুব ভবনে আবাসিক ও অনাবাসিক যুবক-যুবতীদেরকে বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। সেবা সমূহের মধ্যে রয়েছে, গবাদিপশু হাঁস-মুরগী পালন ও প্রাথমিক চিকিৎসা, সেলাই/পোশাক তৈরী, মৎস্য চাষ, কম্পিউটার বেসিক এন্ড আইসিটি এ্যাপ্লিকেশন, ইলেকট্রনিক্যাল এন্ড হাউজ ওয়ারিং, রেফ্রিজারেশন এন্ড এয়ারকন্ডিশন, ফ্রি ল্যান্সিং/ আউট সোসিং, কৃষি বিষয়ক, টুরিস্ট গায়ইড এন্ড ইংলিশ স্পিকিং ও মোবাইল ফোন সার্ভিসিং।
খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে , তৎমধ্যে কম্পিউটার কোর্স সহ মাত্র ২ টি ট্রেড কোর্স চালু রয়েছে। অবশিষ্ট কোর্স সমূহ বন্ধ হয়ে পড়েছে।
সচেতন মহলের অভিমত, যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে সরকারের নানা সুযোগ-সুবিধা সহ আবাসিক ও অনাবাসিক প্রশিক্ষণার্থীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকলেও স্থানীয়রা বঞ্চিত হচ্ছে। জনবল ও প্রশিক্ষক এর অভাবে গুরুত্বপূর্ণ সেলাই বা পোশাক তৈরি, মৎস্য চাষ বিষয় সহ একাধিক ট্রেড কোর্স বন্ধ রয়েছে। যা খুবই দুঃখ জনক।
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এখানে ৩ মাস ও ৬ মাস ব্যাপী দক্ষতা অর্জনের উপর প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। প্রশিক্ষনার্থীদের কে যাতায়াত ভাতাও প্রদান হয়। এ ছাড়াও যুবক ও যুবতীদের জন্য মনোরম পরিবেশে আলাদা হোস্টেল রয়েছে।
কক্সবাজার যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ফাতেমা বেগম জনবল সংকটের কথা সত্যতা স্বীকার করে বলেন, প্রশিক্ষক এর অভাবে যুব ভবনে অনেক বিষয়ের উপর কোর্স সমূহ কার্যত বন্ধ রয়েছে। প্রশিক্ষক ও অন্যান্য পদে জনবল নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টি তিনি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন বলে জানিয়েছেন।
পাঠকের মতামত: